gpf fund balance check । অনলাইনে GPF ব্যালেন্স জানার প্রক্রিয়া
প্রতি বছর সরকারী কর্মচারীগণ জিপিএফ ব্যালেন্স জানতে হিসাবরক্ষণ অফিস হতে জিপিএফ স্লীপ সংগ্রহ করতেন। চলতি বছর হতে অনলাইনেই জিপিএফ ব্যালেন্স দেখা যাবে এবং জিপিএফ স্লীপ সংগ্রহ করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফ এর ব্যালেন্স জানার জন্য হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে জিপিএফ স্লিপ সংগ্রহ করতে হয়। এখন থেকে আর যোগাযোগ করতে হবেনা। অনলাইনে ঘরে বসেই হিসাব পাওয়া যাবে।২০২০-২১ অর্থবছর থেকে সেল্ফ ড্রয়িং অফিসারগণ তাঁদের নিজ নিজ আইবাস++ সফটওয়্যারের আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগ ইন করে রিপোর্ট থেকে জিপিএফ স্লিপ প্রিন্ট নিতে পারছেন। তবে যারা ২০২০-২১ অর্থবছর হতে ইএফটি-র আওতায় এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অনলাইনে দেখা যাবে।
অফিসারদের জিপিএফ তথ্য দেখার জন্য যা করবেন
১. নিজ নিজ আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে
২. Accounting এ প্রবেশ করতে হবে
৩. রিপোর্ট এ যেতে হবে
৪. রিপোর্ট থেকে My GPF certifiate, My GPF accounts slip এবং My GPF sub-ledger থেকে নিজ নিজ তথ্য বের করা যাবে, প্রিন্ট নেয়া যাবে, সেভ করা যাবে।
স্টাফদের বেতন যেহেতু ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ইএফটি-র মাধ্যমে প্রদান করা শুরু হয়েছে তাঁদের জিপিএফ এর হিসাবও এখন থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে।
কর্মচারীদের জিপিএফ ব্যালেন্স দেখতে যা করতে হবে
১. https://www.cafopfm.gov.bd এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে
২. GPF information অংশের Click Here বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে
৩. এবার এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এন্ট্রি করতে হবে
৪. যে অর্থবছরের হিসাব চান সেই অর্থবছর সিলেক্ট করতে হবে
৫. Submit বাটনে ক্লিক করুন
৬. মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে যা ইনপুট করতে হবে
৭. আপনার জিপিএফ হিসাবটি প্রদর্শিত হবে
৮। প্রিন্ট করতে চাইলে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করুন
৯। সেভ করে রাখতে চাইলে প্রিন্টার হিসেবে যেকোনো পিডিএফ প্রিন্টার সিলেক্ট করে প্রিন্ট কমান্ড দিন
১০। এবার ফাইল নেম দিয়ে সেভ করুন
ব্যাস আপনার জিপিএফ হিসাব আপনার হাতে, এবার কথা হলো এখনই কি সবাই হালনাগাদ হিসাব পাবেন? না, সবাই পাবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক প্রত্যয়ণসহ পূর্বের অর্থবছরের সমাপনী জের যার যার এনআইডি নাম্বারের বিপরীতে এন্ট্রি এবং অনুমোদন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হালনাগাদ হিসাব পাওয়া যাবেনা।
আশা করা যায় জুলাই ২০২১ মাসের মধ্যে সবার হিসাব হালনাগাদ হয়ে যাবে। এই কাজটি করার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন হয়।
১. প্রথমে জিপিএফ ভলিউমে হিসাবটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হয়।
২. এবার একটি প্রত্যয়ণ লিখতে হয় নাম, জিপিএফ হিসাব নম্বর, এনআইডি নাম্বারসহ
৩. প্রত্যয়ণপত্রটি স্ক্যান করতে হয়
৪. অডিটরের আইডি থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির এনআইডি নাম্বার দিয়ে সার্চ করে বের হিসাব জিপিএফ হিসাবটি বের করতে হয়
৫. স্ক্যান কপিটি আপলোড করতে হয়
৬. টাকার অংকটি সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হয়
৭. হিসাবরক্ষণ অফিসারের আইডি থেকে প্রত্যেকের স্ক্যান করা কপি এবং এন্ট্রিকৃত টাকার অংক যাচাই কর এপ্রোভ করতে হয়
৮. কাজ কিন্তু শেষ হয়নি। ইএফটি যে মাস থেকে শুরু হয়েছে সে মাস থেকে মাসিক কর্তনের হিসাব অটোমেটিক অনলাইনে যুক্ত হয়েছে। তার পূর্বের মাসগুলোর কর্তনের তথ্য জিপিএফ ভলিউম দেখে GPF subscription history তে এন্ট্রি করতে হয়
৯. যদি জিপিএফ অগ্রীম থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আরো দুইখান ধাপ রয়ে গেছে তাদের জন্য। জিপিএফ এর মঞ্জুরী এন্ট্রি করতে হয়। তারপর ইএফটি-র পূর্বের মাসগুলোর অগ্রীম কর্তনের তথ্য এন্ট্রি করতে হয়।
এবার আপনার হিসাবটি হালনাগাদ হয়ে গেল। একবার এপ্রোভ হয়ে গেলে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সংশোধনের সুযোগ থাকেনা। তাই বেশ সতর্কতার সাথে কাজটি সম্পাদন করতে হয় আরও একটি তথ্য হলো, ম্যানুয়াল হিসাব নম্বরটি আর থাকছে না। সবারই একটি ডিজিটাল জিপিএফ নাম্বার তৈরি হয়ে গেছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।