যেভাবে বুঝবেন কর্মচারীদের বেতন ইএফটি হয়েছে কিনা।
প্রতিমাসের কর্মচারীদের বেতন নিয়ে অনিশ্চতায় থাকতে হয় এই ভেবে যে, হিসাবরক্ষণ অফিস ইএফটি করল কিনা। ১ তারিখের পূর্বেই বেতন ভাতাদি অনুমোদন করা হলেও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ১ তারিখে ইএফটি জেনারেট করা হয়। কোন কোন মাসে ইএফটি ম্যাসেজ আসে না।
তখন দু:চিন্তার শেষ থাকে না যে, আগামী ২ তারিখেও মনে হয় বেতন ব্যাংক হিসাব হিট করবে না। তখনই হিসাব শাখার জোর চেষ্টা চালাতে হয় হিসাবরক্ষণ অফিসে যে, বেতন কি ইএফটি করা হয়েছে? EFT Transmitted করা হয়েছে কিনা। এটি কিন্তু আপনি ডিডিও আইডি থেকে করতে পারেন খুব সহজেই যদি নিচের অপশনটি আপনার ডিডিও আইডিতে খোলা থাকে।
EFT Message আসুক বা না আসুক আগামীকাল ব্যাংকে টাকা আসবে জানবেন যেভাবে
প্রথমত হিসাবরক্ষণ অফিসে গিয়ে অডিটার বা ডিডিও আইডি থেকে Advice to Bangladesh Bank চেক করলেই বোঝা যাবে ইএফটি ট্রান্সমিট হয়েছে কিনা। যদিও এসডিও বা কর্মকর্তাদের বেতন বিল ইএফটি হয়েছে কিনা তা জানতে আইবাস++ এ লগিন করলে হোম পেইজেই শো করে Pay Bill Approved by Accounts office, EFT Transmitted, Advice Sent, EFT Returned এগুলো দেখেই বেতন প্রাপ্তির অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু কর্মচারীদের ক্ষেত্রে আপনার ডিডিও আইডি হতে নিশ্চিত হতে হয়। সেজন্য আপনাকে Accounting Module>Reports>register>Select Bank Advice EFT>Pay point>Fiscal year>Month>Date> Run Report ব্যাস বিশাল একটি পিডিএফ ফাইল আসবে। সেখানে এনআইডি দিয়ে সার্চ করলেই বেতন নাম ইত্যাদি তথ্য দেখাবে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইলে ইএফটি ম্যাসেজ আসে না কেন?
টেলিটক সার্ভারে একই সাথে অসংখ্যা বা হিউজ পরিমাণ ইএফটি জেনারেট করা হয়। ফলে জ্যাম লেগে যায় এক্ষেত্রে একইদিন বা পরের দিন ইএফটি ম্যাসেজ আসে বা Message Sending Fail হয়। ফলে ম্যাসেজ আর আসেই না। ম্যাসেজ আসে না বলে যে ইএফটি জেনারেট হয়নি ব্যাপারটা এমন নয়। অনেকক্ষেত্রে চাইনিজ ব্র্যান্ডের মোবাইলে সমস্যা বা ইনবক্স ফুল থাকলেও ইএফটি ম্যাসেজ আসে না। ম্যাসেজ আসুক বা না আসুক ইএফটি জেনারেট সফল হলে পরের দিন অবশ্যই ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে।
কারও ব্যাংক হিসাবে সকালে আবার কারও ব্যাংক হিসাবে বিকালে টাকা ঢোকে এর কারণ কি?
বাংলাদেশ ব্যাংক ইএফটি জেনারেট পাওয়ার পরের দিন সব ব্যাংক শাখাগুলোতে ইএফটির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করেন কিন্তু দেখা যায় ঐ ব্যাংকগুলো ব্যস্ততার কারণে ইএফটিগুলো রিসিপ করতে দেরী করে। ফলে আপনার কলিগ সকালে টাকা পাইছে আর আপনার ব্যাংক একাউন্ট কোন ব্যস্ত ব্রাঞ্চে হওয়ার কারণ ৫টার পরে টাকা পাচ্ছেন। ব্যাংক যদি বন্ধ থাকে তবে ব্যাংক হিসাবে টাকাই ঢুকতে পারবে না। তাই ব্রাঞ্চ ভেদে টাকা আগে পরে ঢুকে কারণ ইএফটি রিসিপ করার পরই ব্যাংক হিসাবে অর্থ আসে।