বেতন বৈষম্য নিরসন ও নবম পে-স্কেলের দাবিতে উত্তাল সরকারি কর্মচারী অঙ্গন
দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং বৈষম্যহীন নবম জাতীয় পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
আজ (নির্দিষ্ট তারিখ বা ‘গতকাল’) রাজধানীর (স্থান, যেমন: জাতীয় প্রেসক্লাব, বা ছবির স্থান) সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন।
️ কর্মচারীদের প্রধান দাবিগুলো:
-
নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা: বৈষম্যহীন বেতন কাঠামোসহ দ্রুত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে।
-
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল: ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেলে বাতিল করা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অবিলম্বে ফিরিয়ে আনতে হবে।
-
বেতন গ্রেড হ্রাস: বর্তমানে বিদ্যমান ২০টি বেতন গ্রেড কমিয়ে এনে ১০টি গ্রেডে (১ থেকে ১০) বাস্তবায়ন করা।
-
পদ ও বেতন বৈষম্য নিরসন: সচিবালয়ের সঙ্গে সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট সকল প্রকার পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করে এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন।
-
রেশন চালু: অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ন্যায় সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য রেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন যে, সরকার যদি দ্রুত তাদের ন্যায্য দাবি পূরণের কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, বিশেষ করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে-কমিশনের গেজেট প্রকাশ না করলে, তারা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন। তারা উল্লেখ করেন যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক (নাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন: মো. ওয়ারেছ আলী) তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা আমাদের অধিকার চাই। যদি দ্রুত পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হয়, তবে কর্মচারী সমাজ রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।”
প্রেক্ষাপট: উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পদ বৈষম্য নিরসনে সরকার ২০১৯ সালে ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ গঠন করেছিল। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও কর্মচারীদের মূল দাবিগুলো আজও পূরণ হয়নি, যা তাদের মধ্যে তীব্র হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

৫ ই ডিসেম্বর মহা সমাবেশ?
হ্যাঁ, সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ-এর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি মূলত বৈষম্যহীন নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান এবং অন্যান্য ৭ দফা দাবি আদায়ের চলমান আন্দোলনের অংশ।
-
সংগঠন: বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ (Bangladesh Sarkari Karmachari Dabi Adhay Oikya Parishad) এবং বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ (Bangladesh Sarkari Karmachari Samannay Parishad)।
-
স্থান: ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার (সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে)।
কর্মচারী নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে এই মহাসমাবেশ সফল করতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

