বেতন ibas++ – ibas++ ওয়েবসাইটটি ব্যক্তিকাজে ব্যবহারের জন্য নয়। এটি শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীগণ বা সরকারি কাজে দপ্তরগুলো ব্যবহার করতে পারে। এটি কোন ক্ষতিসাধন দন্ডনীয় অপরাধ। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন তথ্য হ্যাক করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  Integrated Budget And Accounting System বেতন বিল দাখিল এবং সরকারি বিল পরিশোধ কাজে ব্যবহার করা হয়।

ibas++ এ থাকবে কর্মচারীদের ডাটাবেজ, যার ভিত্তিতে বেতন বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত হবে এবং কর্মকর্তা ও ডিডিওগণ তা অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন। ভ্রমণ ভাতা বিলসহ অন্যান্য বিলও অনলাইনে দাখিল করা যাবে। স্ব স্ব বিল অনুমােদন এবং চেক বা ইএফটি প্রদানের প্রতিটি পর্যায় ডিডিওগণ অনলাইনে দেখতে পারবেন।

আইবাস++ এ বাজেট প্রণয়ন করা যায় কি?

আইবাস’ এর মাধ্যমে দুটি প্রক্রিয়ায় বাজেট প্রণয়ন করা যায়। প্রথমত মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলাে মন্ত্রনালয় থেকে প্রদত্ত সম্ভাব্য প্রাথমিক ব্যয়সীমার সাথে সামঞ্জস রেখে মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত উদ্দেশ্য ও অগ্রাধিকার খাত বিবেচনায় নিয়ে বাজেট উপাত্ত এ সিস্টেমে এন্ট্রি করে তা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রেরন করে।

এভাবে বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ প্রস্তুত করে মাঠ পর্যায়ের দপ্তর, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় ধাপে ধাপে বাজেট প্রণয়ন করে অনলাইনে অর্থ বিভাগে দাখিলের পর অর্থ বিভাগ ত্রিপক্ষীয় সভার আয়ােজন করে। ত্রিপক্ষীয় সভার ঐক্যমতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়সমূহ প্রাথমিক ব্যয়সীমা চুরান্ত করে পুনরায় অর্থ বিভাগে প্রেরন করে।

অতঃপর অর্থবিভাগ সংসদে অনুমােদনের জন্য জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করে। আইবাস থেকেই এ সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল, প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ তৈরি করা হয়ে থাকে।

গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তার বেতন বিল অনলাইন / অনলাইনে বেতন দেখার নিয়ম

গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তার বেতন বিল, অনলাইন অনলাইনে বেতন সাবমিট, ibas++ login, ibas++ login salary, অনলাইনে বেতন দেখার নিয়ম, অনলাইনে বেতন বিল দাখিল, Online paybill submission, ibas++ registration form pdf

আইবাস++ ইউজার ডেটাবেইড ওয়ার্ক

Caption: গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তার বেতন বিল, অনলাইন অনলাইনে বেতন সাবমিট, ibas++ login, ibas++ login salary, অনলাইনে বেতন দেখার নিয়ম, অনলাইনে বেতন বিল দাখিল, Online paybill submission, ibas++ registration form pdf

আইবাস++ এর কাজ কি?

  1.  আইবাস++ এর বাজেট প্রণয়নকরণ- ibas++ এর মাধ্যমে এখন খুব সহজেই বাজেট প্রস্তুত করা যায়। এক ক্লিকেই বাজেট বরাদ্দ দেয়া যায়। বাজেট বাস্তবায়নও এই আইবাস++ এর মাধ্যমেই করা হয়। এতে জালিয়াতি বা দূর্ণীতি রোধ করা সম্ভব হয়।
  2. জেনাবেল লেজার-সরকারি প্রতিটি লেনদেনের জন্য লেজার এবং জাবেদা এন্ট্রি হয়। ফলে প্রতিটি লেনদেনের সঠিক হিসাব রাখা সম্ভব হয়। একাউন্টিং রুলস এবং রেগুলেশন মেনে আইবাস++ ট্রানজেকশন সম্পন্ন করে তাই হিসাবের ভুল রোধ করা যায়।
  3. আইবাস++ এর বাজেট বাস্তবায়ন-বাজেট এক্সিকিউশন মডিউুলের মাধ্যমে বেতন ভাতাদি প্রদান সহ যে কোন বিল দাখিল করার কাজ সহজ। এতে করে ডুপ্লিকেট বিল বা ভুয়া বিল সহজেই শনান্ত করা যায়। চ্যানেল লেনদেন বা পার্টি লেনদেনের মাধ্যমে সঠিক লেনদেন সম্পন্ন বা শনাক্ত করা যায়।
  4. আইবাস++ এর হিসাবরক্ষণ –যে কোন হিসাব প্রতিবেদন বা রিপোর্ট খুব সহজেই আইবাস++ হতে যে কোন সময় জেনারেট করা যায়।

আইবাস++ এর বাজেট বাস্তবায়ন, অবমুক্তি, পুন: উপযোজন করা যায় কি?

বাজেট বরাদ্দ হয় এখন আইবাস++ এর মাধ্যমেই – বাংলাদেশ সরকারের বাজেট প্রণীত হয় জাতীয় পর্যায়ে, অর্থাৎ কোন একটি দপ্তরের সারা দেশব্যাপী সকল অফিসের কোন একটি খাতের জন্য একটি মাত্র সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যেমন, বাজেটে বলা থাকে সারা দেশের সকল উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের ভ্রমণ ভাতার জন্য বরাদ্দ কত কিন্তু এই অর্থ ব্যযের পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের ভ্রমণ ভাতা বাবদ পৃথক বরাদ্দ নির্ধারণ করে দিতে হয়। এই প্রক্রিয়াটি বরাদ্দ বিভাজন নামে পরিচিত ibas++ এর বরাদ্দ বিভাজন মডিউলের মাধ্যমে সুষ্ঠুরূপে বরাদ্দ বিভাজন করা যায়। বাজেটের অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া বা বরাদ্দের অতিরিক্ত ব্যয় সফটওয্যারটির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। তাছাড়া বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যয়ের বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় বিশ্লেষণ সফটওয্যারটি সরবরাহ করতে সক্ষম।

অর্থ অবমুক্তি কাজও আইবাস++ দিয়েই সম্পন্ন করা হয়- নগদ ব্যবস্থাপনার (Cash Management) – অংশহিসেবে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থ অবমুক্ত করার পর ব্যয় করা হয়। আইবাস’- এ এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার ব্যবস্থা রযেছে যার ফলে একদিকে যেমন বাজেটের অতিরিক্ত অবমুক্তি এবং অবমুক্তির অতিরিক্ত ব্যয় নিবারণ করা যায়, তেমনি এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ তৈরি করা যায়, যা নগদ ব্যবস্থাপনায় মূল্যবান ভূমিকা পালন করে।

পুনঃউপযােজন বা সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ- সারা বছর ধরে প্রযােজনের নিরিখে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা অর্থ বিভাগ কর্তৃক পূনঃউপযােজনের প্রযােজন হয়ে থাকে। বাজেট বাস্তবায়ন মডিউলের মাধ্যমে এই কাজটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করা যায়।