eporcha । EPorcha gov BD হচ্ছে সরকারি খতিয়ান ই পর্চা, খতিয়ান অনুসন্ধান, ই নামজারি যাচাই করার ওয়েবসাইট!
সূচীপত্র
সরকারি ভূমি অফিসে না গিয়েই এখন পর্চা, খতিয়ান বা জমির তথ্য সম্বলিত কাগজ ডাউনলোড, ডাকযোগে পাওয়ার আবেদন করা যায়– এই সরকারি ওয়েবসাইটের কল্যাণে ঘরে বসেই পর্চা বা খতিয়ান হাতে পাওয়া যায়–eporcha । EPorcha gov BD
পর্চা কি? – পর্চা হলো জমির মালিকানা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি খতিয়ান নামেও পরিচিত। জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ে জমির মালিককে যে খসড়া মালিকানার বিবরণী দেওয়া হয় তাকেই পর্চা বলা হয়। চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশের পর মালিকানার বিবরণ সম্বলিত বিবরণীকে খতিয়ান বলা হয়। খতিয়ানই মূলত পর্চা যার ভাবার্থ একই।
পর্চা সংগ্রহ করতে কি ফি লাগে? হ্যাঁ। ১০০ টাকা ফি বিকাশ বা নগদে পরিশোধ করতে পারবেন। জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। জমি বিক্রি, দান, বা বন্ধক রাখার সময় প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদির সংযোগের জন্য প্রয়োজন হয়। ঋণ নেওয়ার সময় জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় ভূমি অফিসে আবেদন করে পর্চা সংগ্রহ করা যায়। আবেদনের সাথে জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর (যদি থাকে), এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হয়।
খতিয়ান কি? খতিয়ান হলো জমির মালিকানা ও ভূমি সংক্রান্ত তথ্যের একটি আনুষ্ঠানিক নথি। এটি ভূমি জরিপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয় এবং জমির মালিক, জমির পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ, জমির ধরণ, অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ ধারণ করে। জমির অবস্থান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিস থেকে খতিয়ান সংগ্রহ করা যায়। আবেদনের সাথে জমির দাগ নম্বর, আবেদনকারীর NID নম্বর, প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হয়।
খতিয়ান অনুসন্ধান / ই পর্চা ওয়েবসাইট হতেই আপনি খতিয়ান বা পর্চা ডাউনলোড করতে পারবেন
সার্ভে খতিয়ান হতে আপনি এসএ বা আরএস খতিয়ানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সকল খতিয়ান এখনও আপলোড করা হয়নি। ক্রমান্বয়ে ভূমি অফিস সবই অনলাইন করবে।
Caption: Khotian Search Link
EPorcha gov BD । পর্চায় সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্যগুলি থাকে
- জমির দাগ নম্বর
- খতিয়ান নম্বর
- মালিকের নাম
- সহ-মালিকের নাম (যদি থাকে)
- জমির পরিমাণ
- জমির ধরণ
- খাজনার হার
- অবস্থান
কত রকমের খতিয়ান বা পর্চা রয়েছে?
বাংলাদেশে মূলত চার ধরণের খতিয়ান প্রচলিত রয়েছে সি.এস. (Cadastral Survey) খতিয়ান: ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে প্রথম জরিপের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এস.এ. (State Acquisition) খতিয়ান: ১৯৫০ সালের দশকে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের আওতায় তৈরি করা হয়। আর.এস. (Revisional Survey) খতিয়ান: পূর্বের খতিয়ানে ত্রুটি সংশোধন করে নতুন করে তৈরি করা হয়। বি.এস. (Basic Survey) খতিয়ান: সর্বশেষ জরিপের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে।