Ibas++। আইবাস++। গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তার বেতন বিল দাখিল ২০২১
সরকারি কর্মকর্তাগণ এখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড অথবা এক্সেলে বেতন বিল তৈরি করে দাখিল করে না। এখন অনলাইনে মোবাইলেই ঘরে বসে বেতন বিল দাখিল করতে পারেন। শুধুমাত্র ম্যানুয়াল বিলগুলো যেমন, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা এবং ভ্রমণ ভাতা অথবা এমন বিলগুলো অনলাইনে দাখিল করা যায় না। মাসিক বেতন বিল এবং উৎসব ভাতার বিল অনলাইনে দাখিল করা যায়।
আইবাস++ এ বেতন বিল দাখিল । Pay bill Submission by ibas++
সেল্ফ ড্রয়িং অফিসারগণ অনলাইনে নিজের বিল নিজেই দাখিল করে থাকেন। একজন এসডিও তার নিজের আইবাস++ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে অনলাইনে মাসের ২১-২৫ তারিখের মধ্যে মাসিক বেতন বিল দাখিল করেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ডিডিও মডিউলে সেসব বিল জমা হয়ে থাকেন। ডিডিও ফরওয়ার্ড করলে বিলগুলো হিসাবরক্ষণ অফিসে চলে যায়। হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন বিল অনুমোদন করেন এবং মাসে ৩১ তারিখে ইএফটি ট্রান্সমিট করে থাকেন। ইএফটি ট্রান্সমিট করার পরদিনই ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয়ে যায়। ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হতে হলে ইএফটি ম্যাসেজ পেতেই হয় ব্যাপারটি এমন নয়।
ibas++ হতে বেতন বিল EFT মেসেজ পাওয়া জি আবশ্যিক?
সার্ভার জটিলতার কারণে অনেক সময় ইএফটি ম্যাসেজ মোবাইলে আসেনা। ইএফটি ম্যাসেজ আসুক বা না আসুক আপনার ব্যাংক হিসাব ঠিকই ক্রেডিট হয়ে যাবে। আপনি যদি সেল্ফ ড্রয়িং অফিসার হয়ে থাকেন তবে আপনার আইবাস++ একাউন্টে লগিন করলেই হোম পেইজে দেখতে পারবেন আপনার বিলটির বিপরীতে কোন EFT Generate হয়েছে কিনা। ইএফটি ট্রান্সমিট হয়ে থাকলে আপনার ব্যাংক হিসাবে টাকা ক্রেডিট হওয়ার ম্যাসেজ চেক করুন। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয়ে থাকলেও ম্যাসেজ মিস করতে পারে। যদি এমন হয় যে আপনি ইএফটি ম্যাসেজ বা ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হওয়ার ম্যাসেজ কোনটিও পাননি তবে আপনি আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চে খোজ নিয়ে দেখুন ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয়েছে কিনা।
একই দিনে ইএফটি ম্যাসেজ আসলেও ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হয় একজনের সকালে আরেক জনের বিকালে, কারণ কি?
মূলত একইসাথে সকল ইএফটি ট্রান্সমিট করা হয় তাই ম্যাসেজ সবাই একটু আগে পরে পেয়ে থাকেন। আবার আমি এও বলেছি যে, ইএফটি ম্যাসেজ অনেক সময় আসে না। অন্য দিকে এখন যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি তা হলো, ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট কারও সকালে আবার একই অফিসে কর্মরত কেউ বিকালে টাকা পাচ্ছেন এর কারণ কি? এর কারণ হলো আপনার যে ব্রাঞ্চে ব্যাংক হিসাব সংশ্লিষ্ট আপনার হিসাব দেরিতে ক্রেডিট করেছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সময়মত আপনার হিসাব ক্রেডিটের রিকুয়েস্ট পাঠালেও আপনার ব্রাঞ্চটি আপনার হিসাবের বিপরীতে রিকুয়েস্টটি দেরীতে গ্রহণ করেছে তাই আপনি বিকালে টাকা পেয়েছেন। মূল ব্রাঞ্চ ভেদে এটি ভিন্ন হতেই পারে কারণ প্রত্যেকটি ব্রাঞ্চ সমান ব্যস্ত নয় বা একেক ব্রাঞ্চে সার্ভিস একেক রকম। মূলত আপনার বেতনের টাকা সময়মতই বাংলাদেশ ব্যাংক আপনার ব্রাঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে কিন্তু আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চে সেটি দেরীতে গ্রহণ করেছেন।
কর্মচারীদের বেতন বিল কে দাখিল করেন?
কর্মচারীদের বেতন বিল সংশ্লিষ্ট অফিসের ডিডিও দাখিল করেন। ডিডিও বা আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা হিসাব এন্ট্রি করে হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিল করেন। যদিও এ কাজটি হিসাব বিভাগই আয়ণ ব্যয়ণ কর্মকর্তার পক্ষে সম্পন্ন করে থাকেন। তবে বিল হিসাবরক্ষণ অফিসের দাখিলের পর সেটি অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে। হিসাবরক্ষণ অফিস বিলগুলো অনুমোদন করে ১ তারিখে ইএফটি ট্রান্সমিট করে থাকেন। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি কর্মচারীর ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট করে দেয়।
ইএফটি ম্যাসেজ পেলেই কি ব্যাংকে টাকা ঢুকে যায়?
না। ইএফটি ম্যাসেজ পাওয়ার পরদিন ব্যাংক টাকা ঢুকে যায়। অনেক সময় সার্ভার জটিলতা বা ডাউন বা ব্যস্ত থাকার কারণে আরও ২/১ দিন সময় লেগে যায়। অন্য দিকে যদি বৃহস্পতিবার ইএফটি ম্যাসেজ পান তবে পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার কিন্তু আপনার ব্যাংক হিসাব ক্রেডিট হবে না। শুক্র, শনি দুদিন ব্যাংক বন্ধ তাই রবিবারে আপনার ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হবে। আরও একটি ফ্যাক্টর রয়েছে তা হলো যদি আপনার ব্রাঞ্চ রবিবার কোন কারণে বন্ধ থাকে তবে রবিবারও আপনি টাকা পাবেন না। তাই ইএফটি ম্যাসেজ নয়, ব্যাংকের ট্রানজেকশন ম্যাসেজ দেখে কনফার্ম হয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে যান। অন্যথায় আপনাকে খালি হাতে ব্যাংক হতে ফিরতে হবে।