Govt Orders । সরকারি আদেশসমূহ

Govt. Staff Transfer Rules । যে কারণে কর্মচারীকে বদলী করা যাইবে

সরকার বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীদের বদলীর ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের নিকট ইতিমধ্যে অর্পণ করিয়াছেন। তবে, নির্দিষ্ট কোন কোন ক্ষেত্রে সরকার জনস্বার্থে এইরূপ বদলীর ক্ষমতা সংরক্ষণ করিতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, থানা নির্বাহী অফিসারদের এক কর্মস্থল হইতে বদলীর ক্ষমতা সরকার রক্ষণ করিতে পারে।

১। একই পদে ৩ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বেই মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও উহার অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে নতুন পদে /স্থানে বদলী করিতে হইবে।

২। কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের ক্ষেত্রে উক্ত আদেশ প্রযোজ্য হইবে যদি বর্তমানে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পদটি বদলীযোগ্য হইয়া থাকে।

৩। বিশেষজ্ঞ ও কারিগরি ধরনের পদে যে কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন উক্তরোক্ত আদেশের বলে তাহাদিগকে অকস্মাৎ বদলী করা হইলে কাজকর্মের ব্যাঘাত সৃষ্টি হইতে পারে বলিয়া এই সমস্ত ক্ষেত্রে উপরোক্ত আদেশ যথোপযুক্ত বিবেচনার পর শিথিল করা যাইতে পারে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কোন বিশেষ কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে একই পদে রাখার পূর্ণযৌক্তিকতা প্রদর্শন করিয়া বিষয়টি সংস্থাপন বিভাগে পাঠাইতে হইবে। সংস্থাপন বিভাগ যৌক্তিকতা পরীক্ষাপূর্বক এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন তাহাই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

৪। যে সমস্ত কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং তাহাদের স্ত্রী উভয়ে একই স্থানে সরকারি/ আধা-সরকারি/ স্বায়ত্তশাস্তি সংস্থায় চাকুরীতে আছেন তাহাদেরও একই পদে ৩ বৎসরের অধিককাল চাকুরী হইলে বদলী করা যাইবে। তবে এইক্ষেত্রে নূতন বদলীর স্থানে উভয়ের উপযোগী পদ থাকিতে হইবে এবং উভয়কে একসঙ্গে বদলী করিতে হইবে।

৫। বেসামরিক কর্মচারীদিগের পুত্রকন্যাগণ স্কুল কলেজে অধ্যয়নরত থাকার কারণে এই বদলীর আদেশের কোন ব্যতিক্রম করা যাইবে না।

৬। উপরিউল্লিখিত কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে বদলীর নির্দেশ ব্যতিক্রম করিতে হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ৩ বৎসর কাল অতিক্রম করিবার অন্তত পক্ষে ৩ মাস পূর্বে সংস্থাপন বিভাগের বিবেচনার জন্য পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে সংস্থাপন বিভাগের প্রদত্ত মতামত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ইডি/এস এ ১-১/৮২-২৬৫ (১০০) তারিখ: ১১/০৬/৮২ মোতাবেক প্রতিবৎসর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপরোক্ত বদলীর আদেশ কার্যকর করা হইয়াছে মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংস্থাপন বিভাগে প্রেরণ করিতে হইবে।

(ইডি/এস এ ১-১/৮২-২২৭(১০০০) তারিখ: ৬-৫-৮২ইং

ইডি/এস এ ১-১/৮২-২৩২(১০০) তারিখ: ২৪/০৫/৮২ইং

ইডি/এসএ ১-১/৮২-২৬৪; তারিখ: ১১/০৬/৮২ইং

৭। ক) সরকারি ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/দপ্তর/পরিদপ্তর এবং অন্যান্য বদলীযোগ্য কর্মকর্তা যাহারা একই স্থানে/একই পদে তিন বৎসরের অধিককাল যাবত কর্মরত আছেন, তাহাদের অবিলম্বে বদলী করিতে হইবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীবৃন্দ অবশ্য এই আদেশের আওতাভূক্ত নহে। (২২/৫/৮৩ইং তারিখের মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত)।

খ) উল্লিখিত মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্তের কোন ব্যতিক্রম ঘটিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সরকারি আইন ও সরকারি বিধি অনুসারে চাকুরীচ্যুতি সহ যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।

(ইডি/এস এ ১-১৩/৮৩-২৫৭(১০০) তারিখ: ১৩/৬/৮৩ইং

৮। ইদানিং লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কর্মকর্তাদেরকে এক স্থান/ পদ হইতে অন্যত্র বদলী করিলে তাহারা বদলিকৃত পদে/ স্থানে যোগদান করিতে অহেতুক বিলম্ব করেন।

এই বিলম্বের ফলে নানাবিধ প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরের জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অতএব, সরকার নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছেন।

ক) যেই ক্ষেত্রে স্থান পরিবর্তন প্রয়োজন নয়, সেই সকল ক্ষেত্রে বদলীর আদেশ জারির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অবশ্যই কার্যভার হস্তান্তরপূর্বক নতুন পদে যোগদান করিতে হইবে।

খ) যেইক্ষেত্রে স্থান পরিবর্তন প্রয়োজন, সেই সকল ক্ষেত্রে বদলী আদেশ জারির ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে অবশ্যই কার্যভার হস্তান্তরপূর্বক নূতন পদে যোগদান করিতে হইবে।

উপরোক্ত নিদের্শের ব্যতিক্রম ঘটিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সরকারি আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসারে চাকুরীচ্যূতিসহ যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে।

[সার্কুলার নং ইডি/এস এ -১-৭৪/৮৩-২৫/৩০০ তারিখ: ৬/৬/৮৩ইং]

০৯। সাধারণভাবে কোন সরকারি কর্মচারীকে তাহার অবসর গ্রহণের পূর্বের তিন বৎসরের চাকুরীকালীন সময়ে কোন নতুন পদে বা নতুন কোন কর্মস্থলে বদলী করা যাইবে না। তবে সরকার, সরকারি চাকুরীর কোন জরুরীত্বে প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিলে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীপদের দায়িত্ব সন্তোষজনকভাবে প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে এই নিয়মের ব্যত্যয় করিতে পারে।

[স্মারক নং এমই আর(রেগ-৪)-১৭৫/৮৩-৮৭ তারিখ: ২৫/০৮/৮৩ইং

১০। অনেক কর্মকর্তা বর্তমান কর্মস্থলে থেকে বদলীর আদেশ জারি করার পরও নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেন না বরং যাহাতে নূতন কর্মস্থলে যোগদান না হয় এইজন্য কালক্ষেপন করেন এবং বদলী বাতিলের জন্য অবাঞ্চিত তদবিরের আম্রয় নেন। তাছাড়া অনেক কর্মকর্তা বিশেষ স্থানে বা বিশেষ পদে যাওয়ার জন্যও তদবিরের আশ্রয় নেন। এই ধরনের তদবির ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার আওতায় অসদাচরণ বলিয়া গণ্য করা হয় এবং তাহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাইতেছে এবং এই ধরনের তদবিরের আশ্রয় নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হইতেছে। যাহারা এই ধরনের তদবিরের আশ্রয় নিবেন, ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার আওতায় তাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হইবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনেও তাহা সন্নিবেশিত করা হইবে।

[সম/উনি-১/৫৭/৮৬-১৮(১০০) তারিখ: ১৩/০১/৮৭ইং]

১১। কোন কর্মকর্তাকে বদলী করার সময় বদলীর যোগ্য কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখিবেন:

(ক) বদলীর আদেশ জারি করিবার পূর্বে সবদিক বিবেচনা করিয়া দেখিতে হইবে। জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হইবে এবং তুচ্ছ কারণে বদলী পরিহার করিতে হইবে।

খ) বদলীর আদেশে বদলীকৃত কর্মকর্তা কবে পুরাতন কর্মস্থল ত্যাগ করিয়া নতুন কর্মস্থলে যোগদান করিবেন, তাহা পরিস্কারভাবে উল্লেখ করিতে হইবে।

গ) কোন কর্মচারীর বদলীর আদেশ জারি করা হইয়াছে, সেই পর্যায়ের একধাপ উপরের অফিস হইতে বাতিল, পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাইবে।

ঘ) কেবলমাত্র স্বাস্থ্য কারণে কোন বদলী সাময়িকভাবে স্থগিত করিবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, উহা সচিব বা যিনি বদলী করিয়াছেন সে পর্যায়ে স্থগিত করা যাইবে।

[সম/উনি-১-৫৭/৮৬-৩৩(২০০); তারিখ: ২১/১/৮৮ ইং]

১২। ক) একই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধীনস্থ দপ্তরে যদি সমমানের পদ থাকে, তবে কর্মচারীর আবেদনক্রমে, যথাসম্ভব মানবিক কিংবা পারস্পারিক স্বার্থেক কারণে, উক্ত নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগবিধিতে এইরূপ বদলীর শর্ত থাকিলে কেবলমাত্র তাহার অধীনস্থ দপ্তরে বদলী করিতে পারিবেন। নিয়োগবিধিতে এইরুপ বদলীর শর্ত না থাকিলে যথানিয়মে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগবিধি সংশোধন না করা পর্যন্ত, এই ধরনের বদলী করা যাইবে না।

খ) সরকারি অফিসের কোন কর্মচারীকে স্বায়ত্তশাসিত /আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় বদলী করা যাইবে না এবং স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কোন কর্মচারীকেও অনুরূপভাবে সরকারি অফিসে বদলী করা যাইবে না। উপরের (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বদলীর উদ্দেশ্যে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন প্রেরণ করিতে হইবে না।

[সম(প্রশাসন-৩)-১০৭/৮৬-২৪৪ (৫০); তারিখ: ১৩/৬/৮৮ ইং]

১৩। চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে বদলীকৃত কোন সরকারি কর্মচারীর বদলীর মেয়াদ হইবে ২ বৎসর।

নোট: কোন সরকারি কর্মচারী চট্টগ্রাম পর্বত্য অঞ্চলের বাসিন্দা হউন বা হউন, এই আদেশ সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।

[ইডি (টিপি এইচ-সি এইচটি এস)/৫(১)-৮৩-১৯৮(১৫০) তারিখ-২৬/৬/৮৩ ইং]

১৪। একজন কর্মরত স্বামী এবং কর্মরত স্ত্রীকে যতদুর সম্ভব একই কর্মস্থলে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে পদায়িত রাখিতে হইবে।

[পিএস/ডব্লিউ-৯৫/৭৭-১৪৭(৩৯) তারিখ: ১/২/৭৭ ইং]

১৫। সরকারি ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় বদলীযোগ্য কর্মকর্তা যাহারা একই স্থানে তিন বৎসরের অধিককাল যাবত কর্মরত আছেন তাহাদের অবিলম্বে বদলী করিবার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। এই নির্দেশ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করিতে হইবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ অবশ্যই এই আদেশের অন্তর্ভূক্ত নহে অথচ তাহাদের অনেকে বদলী করিয়া হয়রানি করা হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। সংস্থাপন বিভাগ এই বিষয়ে তদন্ত করিয়া দেখিবে ও সরকারি আদেশের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ দাখিল করিবে। (মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত)

১৬। উক্ত মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অবহিত করিলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/পরিদপ্তর তাহাদের অধীনস্থ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলীর যৌক্তিকতা উল্লেখ করিয়া প্রশাসনিক কারণে তাহাদেরকে বদলী করা প্রয়োজন বলিয়া উল্লেখ করার প্রেক্ষিতে সরকার পরবর্তীতে আন্ত:মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালা জারি করেন। এই গুলি নিম্নে প্রদত্ত হইল:

ক) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর বদলীযোগ্য পদে কর্মচারীগণকে বদলীর প্রয়োজন হইলে প্রথমে তাহাদেরকে একই কর্মস্থলের জন্য অফিসে বদলী করা যাইতে পারে।

খ) একই কর্মস্থলে অন্য অফিসে বদলীর সুবিধা না থাকিলে নিকটতম অফিসে বদলী করা যাইতে পারে।

গ) তাহাদের বেলায় বদলীর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকিবে না।

ঘ) শুধুমাত্র প্রশাসনিক প্রয়োজনেই এই দুই শ্রেণীর কর্মচারীকে বদলী করা যাইবে।

উপরোক্ত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করিয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে বদলী করা হইলে উহা অবশ্যই “হয়রানিমূলক” বলিয়া ধরা হইবে এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করা “অসদাচরণের” সামিল হইবে।

[এমই (এডি-৩)-৩৮৮৪-১৩০; তারিখ: ১০/২/৮৭ইং]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *