Extra Ordinary Leave Rules | বিনা বেতনে ছুটি সর্বোচ্চ কত দিন ভোগ করা যায়?
অসাধারণ ছুটি বা Extra Ordinary Leave Rules যা আপনার জানা উচিৎ- ছুটি জমা না থাকলে থাকলে অসধারণ ছুটি বা বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হয় –অসাধারণ বা বিনা বেতনে ছুটির বিধান ২০২৪
এক্সট্রা অডিনারি ছুটি কি? অসাধারণ ছুটি, যাহার জন্য ছুটিকালীন বেতন প্রদেয় নয়, যে কোন সরকারী কর্মচারীকে বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রদান করা যাইবে— (এ) যখন বিধিমতে অন্য কোন প্রকার ছুটি প্রাপ্য নয়; অথবা (বি) যখন অন্য প্রকার ছুটি প্রাপ্য হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অসাধারণ ছুটির জন্য আবেদন জানায়। (২)(এ) স্থায়ী কর্মে নিয়োজিত সরকারী কর্মচারী ব্যতীত অন্যান্যের ক্ষেত্রে অসাধারণ ছুটির মেয়াদ এককালীন ৩ (তিন) মাসের অধিক হইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, স্থায়ী কর্মে নিয়োজিত নয় এমন যে সরকারী কর্মচারী বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত হইয়া প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে ৫ (পাঁচ) বৎসর সরকারের চাকরি করিবেন, এই মর্মে বন্ড প্রদান করিয়াছেন এবং চাকরির মেয়াদ নিরবচ্ছিন্নভাবে কমপক্ষে ৩ (তিন) বৎসর পূর্ণ হইয়াছে, এইরুপ যে সরকারী কর্মচারী উল্লেখিত প্রকার বন্ড প্রদানপূর্বক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণে বা অধ্যয়নে রত রহিয়াছেন, তাহাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না।
আরো শর্ত থাকে যে, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অস্থায়ী সরকারী কর্মচারীকে সর্বাধিক ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে । (বি) যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত একজন অস্থায়ী সরকারী কর্মচারীকে এককালীন সর্বাধিক ১২ (বার) মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি প্রদান করা যাইবে, তবে শর্ত থাকে যে— যে পদ হইতে সরকারী কর্মচারী ছুটিতে যাইতেছেন, ঐ পদটি তাঁহার কর্মে প্রত্যাবর্তন অবধি বহাল থাকিবে দাখিলকৃত সার্টিফিকেটে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ বা সিভিল সার্জনের ছুটির মেয়াদ উল্লেখপূর্বক সুপারিশ থাকিলে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে । সুপারিশ প্রদানকালে মেডিকেল অফিসার বি এস আর, পার্ট-১ এর পরিশিষ্ট-৮ এর বিধি-(৭) অনুসরণ করিবেন।
বিনা বেতনে ছুটি কি ভূতাপেক্ষ মঞ্জুর করা হয়? ছুটি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ছুটিবিহীন অনুপস্থিত কালকে ভূতাপেক্ষিকতাবে অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তর করিতে পারিবেন একজন সরকারী কর্মচারীর “ছুটি হিসাব এ জমাকৃত ছুটি তাঁহার বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণের দিনটিতে তামাদি হইয়া যাইবে । বিশ্লেষণ। এই বিধির অন্যান্য বিধানসমূহের প্রয়োগ নাই। এই বিধিমালার অধীন যে কোন প্রকার ছুটির সহিত সংযুক্তভাবে বা ইহার ধারাবাহিকতাক্রমে এই বিধিমালার অধীন অন্য যে কোন প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে । বি এস আর, পার্ট-১ এর পঞ্চদশ অধ্যায়ের সেকশন-১ তে বর্ণিত ছুটি মঞ্জুরের সাধারণ শর্তাদি এবং সেকশন-৮ তে বর্ণিত ছুটির পদ্ধতি সংক্রান্ত যে সকল বিধিসমূহ এই বিধিমালার সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বা ইহার পরিপন্থি নয়, ঐ সকল বিধিসমূহ সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য থাকিবে।
Extra Ordinary Leave Rules/ ছুটি জমা না থাকলে বা শাস্তি হিসেবে বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হয়
বিভাগীয় মামলা থাকলে কি ইনক্রিমেন্ট পাওয়া যায়? না। বিভাগীয় মামলার শাস্তির মেয়াদকালীন বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ থাকবে। বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুরী প্রদানকৃত সময়ের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২৫-০৯-২০১৮ খি্র: তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০২.১৬(অংশ-১)-৩১৬ নম্বর পরিপত্রের মাধ্যমে কোন কর্মচারী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতাদেশ এবং বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুরীর ক্ষেত্রে চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) ২০১৫ এর আওতায় বার্ষিক বর্ধিত বেতনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভাগীয় মামলায় ২৪৬ দিন বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুরির প্রজ্ঞাপন দেখুন
অসাধারণ ছুটি বা বিনা বেতনে ছুটি । এক নজড়ে নিয়ম ও বিধি গুলো দেখে নিন
- স্থায়ী কর্মচারী ব্যতিত অন্যান্য কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অসাধারণ ছুটির মেয়াদ এককালীন ৩ মাসের অধিক হবে না।
- তবে দীর্ঘ কালীন অসুস্থ্যতার জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর ভিত্তিতে অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে ৬ মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটির মঞ্জুর করা যায়।
- যক্ষা রোগে আক্রান্ত একজন অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে এককালীন সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়। তবে বিধান থাকে যে, দাখিলকৃত সার্টিফিকেটে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যক্ষা বিশেষজ্ঞ বা সিভিল সার্জনের ছুটির মেয়াদ উল্লেখ পূর্বক সুপারিশ থাকলে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়।
- স্থায়ী কর্মচারী নিয়োজিত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অসাধারণ ছুটির মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এর ভিত্তিতে স্থায়ী সরকারি কর্মচারীকে ২ বছর পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যায়।
অর্ধ বেতনে ছুটি বলতে কি বুঝায়??
প্রতি ১১ দিন কাজ করার পর একদিন পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করা যায়। সর্বোচ্চ ৪ মাসের পূর্ণ বেতনে ছুটি একসাথে নেওয়া যায়। সরকার ঘোষিত বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের দিনগুলোতে পূর্ণ বেতনে ছুটি থাকে। বিবাহ, মৃত্যু, প্রসূতি, চিকিৎসা, উচ্চতর শিক্ষা, প্রভৃতি কারণে পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হতে পারে। প্রতি ১১ দিন কাজ করার পর একদিন অর্ধ বেতনে ছুটি অর্জন করা যায়। অর্ধ বেতনে ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা নেই। বিশেষ কারণে অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হতে পারে। যখন অন্য কোন ছুটি প্রাপ্য নয়, তখন বিনা বেতনে ছুটি নেওয়া যায়। বিশেষ কারণে বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হতে পারে।