সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩-২০২৪ । পেনশনার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিন
সোনালী ব্যাংকের আলাদা কোন পেনশন সঞ্চয়পত্র স্কীম নেই। বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক হতে আপনি সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। ব্যাংকগুলো এবং ডাকঘর এরা সঞ্চয়পত্র বিক্রতা মাত্র। অবশ্যই এদের থেকেই আপনি সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গাতে পারবেন। বাংলাদেশ সরকার তার ঋণের বড় অংশ সংগ্রহ করে থাকে সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমেই। ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রয় করলেও এটি মূলত সরকারি খাতে বিনিয়োগই হয়। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে কিনলেও অর্থ ব্যাংক ব্যবহার করে না এটি সঞ্চয় অধিদপ্তরের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
সোনালী ব্যাংক পেনশন সঞ্চয়পত্র বিপরীতে ব্যাংক ঋন?
আপনারা অনেকেই জানেন যে, ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট অর্থাৎ এফডিআর থাকলে তার বিপরীতে আপনি ৮০% পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে আপনি কোন ব্যাংক ঋণ পাবেন না। কারণ সঞ্চয়পত্রের অর্থ ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে না। তাই নিশ্চিত ভাবে সোনালী ব্যাংক হতে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ছাড়া অন্য চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আপনি সোনালী ব্যাংক হতে ক্রয় করতে পারেন।
সোনালী ব্যাকে ৩ ধরনের সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়
বি:দ্র: সোনালী ব্যাংক হতে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা যায় না। এটি শুধুমাত্র জেলা সঞ্চয়পত্র ব্যুরো অফিস হতে ক্রয় করা যাবে।
পরিবার সঞ্চয়পত্র কি, কে ক্রয় করতে পারবেন?
১৮ ও এর বেশি বয়সী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ বা নারী) এবং ৬৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি বয়সের বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিক এ সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। মুনাফার হারও ভাল। ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মেয়াদান্তে ১১.৫২%। চাইলে যে কোন সময় ভাঙ্গাতে পারবেন এতে সুদ সমন্বয় করে এবং চলতি বছরের মুনাফা বাদ দিয়ে আসল ফেরত দেয়া হয়।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কি এবং কে ক্রয় করতে পারবেন?
১৮ ও এর চেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক। ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রটি মূলত বয়স্ক পুরুষদের সামাজিক আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা কোন ব্যবসা বানিজ্য বা সঞ্চিত অর্থ অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করতে অপারগ তাদের আর্থিক নিরাপত্তা বা অর্থ বিনিয়োগের জন্য সরকারি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র চালু করেছে। ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ফরম ২০২৩
পেনশন সঞ্চয়পত্র কি? কে ক্রয় করতে পারবেন?
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী, সন্তান। প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিলের অর্থ মিলিয়ে একক নামে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা। পূর্ণমেয়াদের জন্য ১ (এক) লক্ষ টাকায় প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.৭৬% হারে টাকা ২,৯৪০.০০ (দুই হাজার নয়শত চল্লিশ) মাত্র প্রদেয় হইবে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র যারা ক্রয় করতে পারবেন এবং ১১.৭৬% মুনাফা!
পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পেনশনার সঞ্চয়পত্র ফর্ম, ক্রেতা ও নমিনির ছবি, এনআইডি লাগবে। একটি ব্যাংক হিসাব এবং ঐ একাউন্টের চেক। পিপিও বইয়ের কপি ও পেনশন আদেশ।
৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কে এবং কোথায় ক্রয় করা যাবে?
১৮ ও এর চেয়ে বয়সী সব শ্রেণি–পেশার বাংলাদেশি নাগরিক। সঞ্চয় অধিদপ্তরের ১১ ধরনের সেবার মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র, এটি প্রবর্তন করা হয়েছে ১৯৭৭ খ্রি: সালে। এতে মুনাফার হার রাখা হয়েছে মেয়াদানেন্ত ১১.২৮%। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করলে ১ম বছরান্তে ৯.৩৫%, ২য় বছরান্তে ৯.৮০, ৩য় বছরান্তে ১০.২৫% এবং ৪র্থ বছরান্তে ১০.৭৫% হারে মুনাফা প্রাপ্য হবে। এখানে মেয়াদ পূর্তির পূর্বে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গালে বা নগদায়ন করলে উক্ত হার প্রযোজ্য হইবে। ব্যাংক ও ডাকঘরে মিলবে না পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র।
বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে মুনাফা- প্রদানের স্ল্যাব বা ধাপ গুলো হলো- ১ম স্ল্যাবঃ ১/- থেকে ১৫,০০,০০০/- ২য় স্ল্যাবঃ ১৫,০০,০০১/- হতে ৩০,০০,০০০/- ৩য় স্ল্যাবঃ ৩০,০০,০০১/- হতে তদুর্ধ্ব। ১৫ লাখ পর্যন্ত আগের নিয়ম থাকবে কিন্তু অনেকে জানতে চান যে, ১৫ লাখের বেশি কিনলে সম্পুর্ন টাকার রেট কমে যাবে কিনা?
আগের কেনা গুলো যতই কেনা থাক তা আগের রেটেই পাবেন, নতুন যারা কিনবেন তাদের এই পরিবর্তিত রেটে মুনাফা দেয়া হবে। কিন্তু আগে যা কেনা আছে তার সাথে সমন্বয় করে দেখা হবে মোট কত কেনা আছে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- আমার পরিবার সঞ্চয়পত্র পুরানো ১৫ লাখ কেনা আছে, নতুন নিয়মে আরো ৪ লাখ কিনলে কত টাকা পাবো? উত্তরঃ ১৫ লাখে আগের রেটে লাখে ৮৬৪ টাকা করে পাবেন আর পরের ৪ লাখে নতুন রেট (১৫-৩০ লাখ পর্যন্ত স্ল্যাব) লাখে ৭৮৭.৫০ টাকা করে পাবেন। আগের কেনা গুলো কোন রেট চেন্জ হবে না। সঞ্চয়পত্র স্ল্যাব ভিত্তিক মুনাফা নির্ধারণ করার নিয়ম ২০২৩
নতুন অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার সঞ্চয়পত্রের পাশাপাশি অন্যান্য খাত থেকে ঋণ নেবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। সবমিলে সরকার ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেবে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা।
সোনালী ব্যাংক পেনশন সঞ্চয়পত্র ২০২৩ । পেনশনার সঞ্চয়পত্র কাদের জন্য?