সর্বশেষ প্রকাশিত

মাধ্যম যথাযথ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ । সরাসরি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা যাবে কি?

সরকারি কর্মচারী সরকারি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার চাকরি বা সমস্যা নিয়ে আবেদন বা পত্র প্রেরণ করিতে পারিবে না – যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে – সরকারি শৃঙ্খলা করলে শাস্তি বিধান ২০২৩

সরাসরি নিয়োগকারীর নিকট আবেদন প্রেরণ করা যাবে কি? সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষকগণ কর্তৃক চাকরি সম্পর্কিত তাদের দাবীর সমর্থনে সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ব্যতীত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সরাসরি আবেদন দাখিল সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ এর অধ্যায় ১০ এর অনুচ্ছেদ ২৮ অনুসারে অসদাচরণের সামিল।
কর্তৃপক্ষ মাধ্যমে ব্যতীত উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পত্র প্রেরণ করা যাবে কি? না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ব্যতীত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সরাসরি আবেদন দাখিলকারী শিক্ষকগণের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি সকল সরকারি কর্মচারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হইবে।
সরকারি কর্মচারী আইন ২০২৩ এ কি আছে? দশম অধ্যায় এর অনুচ্ছেদ ২৮ এ সরকারি কর্মচারীর অনুসরণীয় নীতি, আচরণ, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীগণের অনুসরণীয় নীতি ও মানদণ্ড প্রণয়ন অনুচ্ছেদ ২৮। সরকার, জনপ্রশাসনের সকল পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিতকল্পে, সরকারি কার্য সম্পাদনের নীতি, শুদ্ধাচার চর্চা এবং কর্মচারীগণ কর্তৃক অনুসরণীয় নৈতিকতার মানদণ্ডসমূহসহ অনুসরণের প্রক্রিয়া ও কৌশল প্রণয়ন করিবে।

সরকারি শৃঙ্খলা করলে শাস্তি বিধান ২০২৩ । সরাসরি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা যাবে না?

                                                                                  সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮

নিয়মিত উপস্থিতির ব্যত্যয়ে বেতন কর্তন । সরকারি দপ্তরে অনুপস্থিত জনিত কারণে কি বেতন কর্তন করা যায়?

  1. ২৯। (১) কোনো কর্মচারী অফিস বা কর্মস্থলে উপস্থিতি সংক্রান্ত বিধির কোনো বিধান বা সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করিলে তজ্জন্য, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, এতৎসংক্রান্ত বিধিতে উল্লিখিত বিধান অনুসারে উক্ত কর্মচারীর বেতন কর্তন করিতে পারিবে।
  2. (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কর্মচারী, অনুরূপ আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার আবেদন করিতে পারিবেন।
  3. (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন পুনর্বিবেচনার কোনো আবেদন করা হইলে, আদেশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিয়া, উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ সংশোধন বা বাতিল করিতে অথবা বহাল রাখিতে পারিবে।

শাস্তি হলে কার কাছে আপীর করতে হবে?

দশম অধ্যায় অনুসারে সরকারি কর্মচারীর অনুসরণীয় নীতি, আচরণ, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি কারণে শাস্তি হলে আপীল করা যাবে। ৩৪। ধারা ৩২ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোনো কর্মচারী, উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে, এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং আপিল কর্তৃপক্ষ উক্ত আদেশ বহাল রাখিতে, বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ PDF কপি। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ । ৪৫ ধারায় জনস্বার্থে ৪ জনকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান
সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুসারে সাময়িক বরখাস্তের বিধান। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮

সরকারি কর্মচারীর অনুসরণীয় নীতি, আচরণ, শৃঙ্খলা, ইত্যাদি ভঙ্গ করলে কি শাস্তি হতে পারে?

৩২। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, বিভাগীয় কার্যধারায় দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে এতৎসংক্রান্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক লঘু বা গুরুদণ্ড আরোপ করিতে পারিবে, যথা :- (ক) লঘু দণ্ডসমূহ – (অ) তিরস্কার; (আ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; (ই) বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিতকরণ; (ঈ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হইলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়। (খ) গুরু দণ্ডসমূহ- (অ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; (আ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; (ই) চাকরি হইতে অপসারণ; (ঈ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *