নতুন পে স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মীদের অসন্তোষ, ডিসেম্বরে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো (পে স্কেল) কার্যকরের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কর্মচারীরা নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় পে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়া এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায়, কর্মবিরতিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তা
সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয় পে কমিশন গঠন করে। কর্মচারীদের দাবি ছিল, কমিশন যেন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেয় এবং অন্তর্বর্তী সরকারই যেন নতুন কাঠামো বাস্তবায়ন করে।
তবে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী নির্বাচিত সরকার পে কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ তার এই মন্তব্যের পরই কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তাদের ধারণা, সরকার নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের দায়িত্ব পরবর্তী সরকারের উপর ছেড়ে দিতে চাইছে, যার ফলে পে স্কেল কার্যকরে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হতে পারে।
কর্মচারীদের আল্টিমেটাম ও জোটবদ্ধ আন্দোলন
অসন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন:
-
৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা না পড়লে তারা কমিশনের ওপর চাপ বৃদ্ধি করবেন।
-
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নতুন পে স্কেল কার্যকরের গেজেট প্রকাশ না হয়, তবে তারা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।
নতুন পে স্কেলের দাবিতে বর্তমানে সকল কর্মচারী সংগঠনকে এক ছাতার নিচে আনার আলোচনা চলছে। সূত্রমতে, ইতিমধ্যেই কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃত্বে ১২টি কর্মচারী সংগঠন এই দাবিতে আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হয়েছে।
️ নেতৃত্বের বক্তব্য
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়ের আহমেদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে দাবি আদায়ে যেকোনো কর্মসূচি দিতে পিছপা হব না।”
কর্মচারীরা মনে করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশিত হলে তারা আশ্বস্ত হবেন এবং সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বজায় থাকবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ: পে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়া এবং সরকারের সিদ্ধান্তের দিকেই কর্মচারীদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গেজেট জারি না হলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ সরকারি কার্যক্রমে স্থবিরতা আসার আশঙ্কা রয়েছে।

