পে কমিশন: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশের চেষ্টা, ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত
পে স্কেল সংস্কার এবং নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরের বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির আজ বুধবার দুপুরে পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাতে বাদিউল কবির কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি প্রধান দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন:
১. ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়া। ২. বেতন গ্রেড কমিয়ে আনা। ৩. ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা।
✨ আলোচনা ‘ফলপ্রসু’ বলে দাবি
সাক্ষাৎ শেষে দেশের একটি গণমাধ্যমকে বাদিউল কবির জানান, আলোচনাটি ছিল ‘ফলপ্রসু’। তিনি বলেন, ‘বেতন গ্রেড কমানো, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমা এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গ্যাজেট প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
⏳ কমিশনের অবস্থান ও আশার আলো
সুপারিশ জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান জানান, চেয়ারম্যান ব্যক্তিগতভাবে মত দিতে না পারলেও, তিনি যে অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন, তাতে কর্মচারী নেতারা সন্তুষ্ট।
চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন যে কর্মচারীদের দাবিগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিপোর্ট দেওয়ার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তবে, তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দেশের আর্থিক তারল্য সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় আনতে হচ্ছে। এই কারণে যদি প্রয়োজন হয়, তবে রিপোর্ট জমা দিতে এক-দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।
কর্মচারী নেতাদের মধ্যে স্বস্তি
দীর্ঘদিন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য না আসায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। এর আগে, নভেম্বরের মধ্যেই সুপারিশ জমা না হলে কর্মচারীরা আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন।
বাদিউল কবিরের সঙ্গে আজকের বৈঠকে কমিশন চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার আশাব্যঞ্জক বক্তব্য আসায়, কর্মচারী নেতারা একে ‘বড় সুসংবাদ’ হিসেবে দেখছেন। তাদের আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের এই তৎপরতা কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
সত্যিই কি পে কমিশনের কাজ শেষের দিকে?
হ্যাঁ, পে কমিশনের কাজ শেষের দিকে বলে মনে হচ্ছে। একাধিক সাম্প্রতিক খবরে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে:
রিপোর্টের সময়সীমা নিয়ে অগ্রগতি
-
৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার চেষ্টা: কর্মচারী সংগঠনগুলোর আল্টিমেটাম এবং দাবির মুখে পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান নিশ্চিত করেছেন যে তারা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন।
-
আলোচনা ফলপ্রসূ: বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের সঙ্গে ২৬ নভেম্বরের (বুধবার) বৈঠকের পর তিনি আলোচনাকে ‘ফলপ্রসূ’ বলেছেন।
-
এক-দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত সময়: যদিও ৩০ নভেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা আছে, চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান দেশের আর্থিক বাস্তবতা, মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে এক থেকে দুই সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন।
️ কাজ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া
-
সচিবদের সাথে বৈঠক: নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে কমিশনের সদস্যদের সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেছেন, এই আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে এবং এই বৈঠক প্রক্রিয়াটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
-
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত সুপারিশের ইঙ্গিত: কিছু সূত্র অনুযায়ী, পে কমিশন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিতে পারে।
সুতরাং, কমিশনের পক্ষ থেকে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার ইতিবাচক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়াগত আলোচনাগুলো শেষ হওয়ার পথে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ (৩০ নভেম্বর) কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবুও কাজটি যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, তা নিশ্চিত।

