সর্বশেষ প্রকাশিত

সরকারি কর্মচারীদের কর্মসূচি ২০২৫ । কর্মচারীদের নতুন কি কি কর্মসূচী পালন করবে?

৯ম পে-স্কেলের জন‍্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে ১ লা মে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণজমায়েত হবে-দাবী সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুল নিয়ে জাতীয় জাদু ঘরের সামনে মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের নিকট দাবীসমূহ তুলে ধরা হবে – সরকারি কর্মচারীদের কর্মসূচি ২০২৫

৪-৮ তারিখ পর্যন্ত কর্মসূচী কি? নিজ নিজ অফিসে অবস্থান কর্মসূচী করবো আধা ঘন্টার জন্য দাবীসম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে এবং নিজ অফিস প্রধান বরাবর দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি পেশ করবো। শুধু সোস্যাল মিডিয়াতে নয় বরং আমরা সকলে এক হয়ে যদি রাস্তায় সমাবেশে অংশ গ্রহণ করি তবেই কেবল দাবী আদায় করা সম্ভব হবে। গত মিটিং বা সমাবেশেও আমরা দেখেছি কাঙ্খিত সংখ্যক লোক জমায়েত হয়নি।

৯-১৫ তারিখ পর্যন্ত কি কর্মসূচী? জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী করবো এবং আমাদের দাবী সমূহের পক্ষে সভা সমাবেশ হবে এবং দাবী সমূহ তুলে ধরা হবে এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করবো। যাতে স্মারক লিপি প্রধান উপদেষ্টার নিকট পৌছে যা তা ফলোআপ করতে থাকবে। এসব দাবী শুধু স্মারক লিপি দিয়ে বসে থাকলে চালবে না নিজ নিজ জায়গা থেকে এসব দাবীর পর্যায় নিয়ে খোজ খবর রাখতে হবে।

১৬ মে কি কর্মসূচী? এই দিন জাতীয় যাদু ঘরের সাময়ে আমাদের দাবী সমূহ সরকারের নিকট তুলে ধরবো। যার যার অবস্থান হতে দাবী সমূহের স্বপক্ষে কর্মসূচীগুলো পালন করলে অবশ্যই আগামী বাজেটেই প্রতিফলন ঘটবে। অবশ্যই মহার্ঘ ভাতাদি বরাদ্দ রাখতে নিয়িমিত দাবীসমূহ পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে হবে। লাখো মানুষের জমায়েত ছাড়া এসব কর্মসূচী সফল করা সম্ভব নয়।

সরকারি কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচী ২০২৫/ দাবী আদায়ে লাখো মানুষের ঢল নামতে হবে

মহার্ঘ ভাতা দিতে সরকারের সমস্যা কোথায়? মহার্ঘ ভাতা দিতে বা ১১-২০ গ্রেডে কর্মচারীদের দুরাবস্থা লাঘবে মহার্ঘ ভাতা দিতে সরকারের সদ্বিচ্ছা রয়েছে কিন্তু মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধির ভয়ে সরকার মহার্ঘ ভাতা দিতে এগিয়ে আসতে গিয়েও পিছিয়ে যায়। তাছাড়া বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ মহার্ঘ ভাতা দিলে বাজার অস্থিতিশীল হবে এমনটি আশঙ্কা করছেন। তাছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অর্থনীতিবিদগণও মহার্ঘ ভাতা বা সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে আগ্রহী নয়। বেতন বৃদ্ধি করলে অর্থনীতির উপরে চাপ পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন।

Caption: info source

সরকারি কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী ২০২৫ । দাবীগুলোর যৌক্তিকতা ও দাবী গুলো কি কি?

  • দাবীনামা ০১: বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল প্রদানের লক্ষে পে-কমিশন গঠন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তবর্তী সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা (১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের জন্য) জানুয়ারী ২০২৫ থেকে কার্যকর করতে হবে।
  • দাবীনামা ০২: যে সকল-কর্মচারিদের মূল বেতন শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছে, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারি প্রতিনিধি রাখতে হবে।
  • দাবীনামা ০৩: সচিবালয়ের ন্যায় সকল সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের কর্মচারিদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করে বৈষম্য দূর করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৪: ২০১৫ সালে পে-স্কেলে হরণকৃত ৩টি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, দক্ষতাজনিত ২টি ইনক্রিমেন্ট ও বেতন জ্যৈষ্ঠতা পূণর্বহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৫: ব্লক পদে কর্মরত কর্মচারিসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে এবং টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারিদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে। আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মচারি নিয়োগ প্রথা বাতিল করতে হবে।
  • দাবীনামা ০৬: বাজারমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতি, জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফতির বিষয়টি বিবেচনা করে সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ। ১১-২০ গ্রেড কর্মচারিদের রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে।
  • দাবীনামা-০৭: উন্নয়নখাত হতে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারিদের প্রকল্পের চাকুরীকাল গণনা করে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা যাবে না মর্মে নং: অম/আবি(বাস্ত-৪)/বিবিধ-২০ (উঃস্কেলঃ/০৭/৪৭ তারিখঃ ২৪-০৩-২০০৮ খ্রিঃ যোগে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত বৈষম্যমূলক আদেশ বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশে মূল্যস্ফিতির হার কেমন?

বাংলাদেশে মূল্যস্ফিতির হার বর্তমানে বেশ উচ্চ হারে দৌড়াচ্ছে। ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফিতির হার ১০ শতাংশের উপরে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও অন্যান্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে প্রতিমাসেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব এখনও আছে এবং টাকা পাচারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। টাকার পূর্বের অবমূল্যায়ন এবং ব্যাংকগুলোর নাজুক অবস্থায় ভোক্তা ও নাগরিক খারাপ অবস্থায় আছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মূল্যস্ফিতি বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সরকারের পদক্ষেপের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও অন্যান্য পণ্যের দামের ওঠানামা মূল্যস্ফীতির হারকে প্রভাবিত করবে।

https://bdservicerules.info/govt-staff-step-for-claim/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *