সরকারি বাসা ভাড়া নীতিমালা ২০২৩ । সংযুক্ত অবস্থায় সরকারি বাড়ি ভাড়া নিয়ম কি?
জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ১৭ মোতাবেক একজন সরকারি কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির পর বাড়ি ভাড়া পুন:নির্ধারণের প্রয়োজন পড়ে। আসুন বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি আমরা একটু ভালভাবে জেনে নেই এবং কিভাবে সহজেই সকলের বাড়ি ভাড়া এক্সেল শীটের মাধ্যমে বের করতে হয় দেখে নিই।
বাড়ি ভাড়া ভাতা-(১) সকল কর্মচারী চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০০৯ এর বিধান মোতাবেক ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে আহরিত বা প্রাপ্য অংকে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাইবেন।
(২) যে সকল কর্মচারী সরকারী বাসস্থানে বসবাস করিতেছেন, তাঁহারা উপ-অনুচ্ছেদ (১) এ উল্লিখিত বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন না।
(৩) আপাতত বলবৎ এতদসংক্রান্ত অন্য কোন বিধি-বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে সকল কর্মচারী সরকারী বাস্থানে বসবাস করেন, ১ জুলাই ২০১৫ হইতে তাহাদের মূল বেতনের ৫%-৭.৫% হারে বাড়ি ভাড়া কর্তনের বর্তমান বিধানাবলী রহিত করা হইল, এবং ১ জুলাই ২০১৫ হইতে ইতোমধ্যে কর্তনকৃত অর্থ সমন্বয়যোগ্য হইবে।
(৪) যে কর্মচারী সরকারী বিধি-বিধান অনুযায়ী, ভাড়া বিহীন বাসস্থানে থাকিবার অধিকারী, তাঁহাকে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বাসস্থানের জন্য কোন বাড়ি ভাড়া প্রদান করিতে হইবে না, তবে তিনি বাড়ি ভাড়া ভাতাও প্রাপ্য হইবেন না।
(৫) যদি স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই কোন সরকারী বা স্ব-স্বাসিত সংস্থা, ব্যাংক, বিমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হন এবং তাঁহারা একত্রে সরকারী বাসস্থানে বসবাস করেন, তাহা হইলে তাঁহাদের মধ্যে যাঁহার নামে বাসস্থান বরাদ্দ রহিয়াছে, তাঁহার বেতন বিল হইতে বাড়ি ভাড়া নির্ধারিত হারে কর্তন হইবে এবং তিনি কোন বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন না; অপরজন (স্বামী বা স্ত্রী) প্রচলিত বিধান মোতাবেক পূর্ববৎ বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন।
(৬) যে সকল কর্মচারীর নিজ নামে অথবা তাহার উপর নির্ভরশীল কাহারও নামে এক বা একাধিক বাড়ি রহিয়াছে, তাহার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময় সময় বাসস্থান বরাদ্দ সম্পর্কে জারিকৃত আদেশ বলবৎ থাকিবে।
ব্যাখ্যা।-এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
(ক) যদি জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃক কোন কর্মচারীকে কর্মস্থলে অথবা তৎনিকটস্থ মেস, হোস্টেল, রেস্ট হাউজ, ডরমেটরী বা ডাকবাংলোয় একক সীট কিংবা একক কক্ষের বরাদ্দ, এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক বাসস্থান বরাদ্দ হিসাবে গণ্য হইবে না এব এই সকল ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাড়ি ভাড়া ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন, তবে উক্ত একক সীট বা একক কক্ষের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ও অন্যঅন্য আর্থিক দায় থাকে তাঁহাকে তাহা প্রদান করিতে হইবে;
(খ) সরকার কর্তৃক ঘোষিত বা নির্ধারিত কোন Improvised Accommodation (যেমন-গ্যাং, কুড়েঘর, গুদামঘর, মালগাড়ির বগি, স্টিমার বা লঞ্চের বার্থ) এ যদি কোন কর্মচারীকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়, তাহা হইলে তাহাকে নির্ধারিত ভাড়া প্রদান করিতে হইবে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বাড়ি ভাড়া ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।
(৭) এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্মচারীগন ১ জুলাই ২০১৬ তারিখ হইতে নিম্ন-সারণিতে উল্লিখিত হারে মাসিক বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রাপ্য হইবেন, যথা-
মূল বেতন ৯৭০০ পর্যন্ত ৬৫% অথবা ন্যূনতম ৫৬০০ টাকা (ঢাকার সিটি কর্পোরেশন), ৫৫% অথবা ন্যূনতম ৫০০০ টাকা (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার পৌর), ৫০% অথবা ন্যূনতম ৪৫০০ টাকা (অন্যান্য স্থানের জন্য)।
মূল বেতন ৯৭০১ হইতে ১৬০০০ পর্যন্ত ৬০% অথবা ন্যূনতম ৬৪০০ টাকা (ঢাকার সিটি কর্পোরেশন), ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫৪০০ টাকা (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার পৌর), ৪৫% অথবা ন্যূনতম ৪৮০০ টাকা (অন্যান্য স্থানের জন্য)।
মূল বেতন ১৬০০১ হইতে ৩৫৫০০ পর্যন্ত ৫৫% অথবা ন্যূনতম ৯৬০০ টাকা (ঢাকার সিটি কর্পোরেশন), ৪৫% অথবা ন্যূনতম ৮০০০ টাকা (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার পৌর), ৪০% অথবা ন্যূনতম ৭০০০ টাকা (অন্যান্য স্থানের জন্য)।
মূল বেতন ৩৫৫০১ বা তদূর্ধ্ব ৫০% অথবা ন্যূনতম ১৯৫০০ টাকা (ঢাকার সিটি কর্পোরেশন), ৪০% অথবা ন্যূনতম ১৬০০০ টাকা (চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার পৌর), ৩৫% অথবা ন্যূনতম ১৩৮০০ টাকা (অন্যান্য স্থানের জন্য)।
চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ মোতাবেক বাড়ি ভাড়া ভাতার চার্ট সংগ্রহে রাখতে পারেন: ডাউনলোড
বি:দ্র: সংযুক্ত থাকা অবস্থায় যেখানে কর্মরত টিক সেখানের অনুসারেই বাড়ি ভাড়া প্রাপ্ত হইবেন। সংযু্ক্তিতে কর্মরত স্থানের হারে বাড়িভাড়া প্রাপ্য হবেন।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ গেজেট ডাউনলোড । চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ pdf