নতুন বেতন কাঠামো: কী থাকছে?
জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান কিছু দিক হলো: বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতন কাঠামো: এই বেতন কাঠামোতে ডাক্তার, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ এবং অন্যান্য পেশাদারদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরির কথা বলা হয়েছে, যাতে তাদের বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন হয়।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়: জিনিসপত্রের দাম বাড়লে যেন সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করার একটি পদ্ধতি চালু করা হবে।
যৌক্তিক ভাতা ও সুবিধা: নতুন কাঠামোতে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা এবং যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে।
স্বাস্থ্যবীমা চালু: ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালুর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি মনে করেন, বেতন বাড়লেও আকস্মিক কোনো অসুস্থতায় পরিবার যেন আর্থিক সংকটে না পড়ে, সে জন্য স্বাস্থ্যবীমা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এটি পরিবারকে মানসিক শান্তি দেবে এবং চিকিৎসার খরচ সামলাতে সহায়তা করবে।
অন্যান্য সুবিধা: টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন এবং রেশন সুবিধার মতো বিষয়গুলোকেও নতুন করে সাজানো হবে, যাতে সেগুলো আরও বেশি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হয়।
এছাড়া, বেতন কমিশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান মূল্যায়ন, বেতন গ্রেড এবং ইনক্রিমেন্টের অসংগতি দূর করার মতো বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করছে। এতে করে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে।
নতুন এই বেতন কাঠামো সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।